কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জরিমানা করে, হাজত খাটিয়ে কিংবা ফাঁসি দিয়ে জঙ্গিবাদ বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, উগ্রবাদের চাষাবাদ হয় মস্তিষ্কে। এই জায়গায় আমরা আঘাত হানতে চাই। আর এক্ষেত্রে তরুণদেরও অগ্রণী ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘তারুণ্যের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার আলোচনায় মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ ও উগ্রতা দমন বা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়, এ কাজ সবার। আর এজন্য পরিবার, শিক্ষাব্যবস্থা, সুশীল সমাজ, সংস্কৃতিকর্মী, মসজিদের ইমাম, আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। এসবের কুফল সম্বন্ধে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাহলেই সম্প্রীতির সংস্কৃতি, পরমতসহিষ্ণু মানসিকতার একটা সহনশীল প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা ও ডিএসপির সভাপতি জিয়াউল হাসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ দেশের তরুণদের কারণেই স্বাধীনতা এসেছে। তবে মুক্তির লড়াই এখনও শেষ হয়নি। এখনকার তরুণদের মাদক, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হবে।
কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে অংশ নেন বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী, যাত্রাশিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাস। এই অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম। কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন ডিএসপি ও উৎসর্গ ফাউন্ডেশনের ৬৪টি জেলার তরুণ প্রতিনিধিরা।