সারাদেশ

চার দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে ওসি প্রদীপ

  প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১০:০৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চার দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে ওসি প্রদীপ

সীমান্ত বাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়। এরপর বিচারকের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কোনো রিমান্ডের আবেদন না করায় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আদালতে তোলার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রদীপকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

একই মামলায় মঙ্গলবার পুলিশের তিন সাক্ষীর আরও তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে তামান্না ফারাহর আদালত।গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদীপের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ।

পরপর চার দফা রিমান্ডে বরখাস্ত ওসি প্রদীক কী তথ্য দিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে, বরাবরই আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।গত ২৮ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় দিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে কারাগারে পাঠানো হয়।গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন।

খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি।একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন। সিনহা খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/এড‌মিন ইব‌নে যা‌য়েদ)

আরও খবর

Sponsered content