ঘুষ একটি নিন্দিত শব্দ। ঘুষ সামাজিক ব্যাধিও বটে। এর শিকড় এতই গভীরে যে, আলােচনাতে তার প্রকৃত সমাধান দুস্কর। কবে, কখন, কেবা কারা ‘ঘুষ নামের এই অপকর্মটি শুরু করেছে কারো জানা নেই। তবে, সন্দেহ নেই ঘুষ একটি বিনিময় ক্ষেত্র। যা অফিসিয়ালি সহসায় কাজ করিয়ে নিতে বকশিষ বুঝায়।
এই কুকর্মে ঘুষখাের ফাঁদ পেতে থাকে, আর ঘুষদাতা সেই ফাঁদে পা দেয়। এ ফাঁদে কেউ হাসিমুখে আর কেউ বুকে কষ্ট চেপে। আইনের কাছে দু`জনে প্রায় সমান অপরাধী। তবে আমার মনে হয়, দ্বায়টা ঘুষখোরের একটু বেশি। কোনকোন ক্ষেত্রে ঘুষদাতার দ্বায় বেশি।
অফিসিয়াল কোন কাজে সময় একটু লাগতেই পারে। তবে সেটা যৌক্তিক কিংবা ঘুষখাের কর্তার কূটকৌশল যেকারণেই হােক, কোনকোন ঘুষদাতা সেটাকে সময়ের অপচয় বা অবমাননা মনে করে কাজটি বিড়ম্বনামুক্ত করতে নিজেই বকশিষ দিয়ে বসেন। কষ্ট করে কাজটি করেছে, বকশিষ তাে দেওয়াই যায়, ক`টাকা আর বেতন পায়। অবৈধ কাজ ভাগিয়ে নিতে ঘুষ তাে আছেই, কমিশন হিসেবেও ঘুষ লেনদেন হয়।
চলবে-