লেবাননের কূটনীতিক মোস্তাফা আদিব দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সংসদে সিংহভাগ ভোট পেয়ে নতুন সরকার গঠনের জন্য সোমবার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।সোমবার সংসদে জার্মানে নিযুক্ত দেশটির সাবেক এই রাষ্ট্রদূত ১২০ ভোটের মধ্যে পান ৯০ ভোট। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হারারি সরকারের ফিওচার মুভমেন্ট ব্লক, হেজবুল্লাহ, আমান মুভিমেন্ট এবং ফ্রি পেটট্রিয়টিক মুভমেন্ট ব্লকের সংসদ সদস্য থেকে আসে এই ৯০ ভোট।
“দেশের অর্থনীতিকে সংস্কার করার জন্য অবশ্যই একজন দক্ষ ও যোগ্য লোককে আমরা খুঁজে বের করতে সক্ষম হব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করি আমরা সফল হব।” সাংবাদিকদের বলেন আদিব।হারারির পদত্যাগের পর লেবাননের পার্লামেন্টে ২৭ সুন্নি সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন অধ্যাপক হাসান দিয়াব। কিন্তু ক্ষমতার ছয় মাস যেতে না যেতেই বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকেও পদত্যাগ করতে হয়। ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের যে আশ্বাস তিনি দিয়েছিলেন তা অধরাই থেকে যায়।
যুগের পর যুগ রাজনীতিবিদদের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশটিতে অর্থনীতিতে মন্দার পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে হাজারো সমস্যা। যা জনগণকে বাধ্য করেছে রাস্তায় নামতে হয়েছে।দেশটির গনমাধ্যমগুলো বলছে, আদিব দেশটির আর্থিক ও বিদ্যুৎ খাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের সঙ্গে ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি করবেন। যেটা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাদের অনেক দিনের চাওয়া।
এক টু্ইট বার্তায় দেশটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ রামেজ দাগার বলেন, মোস্তাফা আদিব সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের মতো একজন শিক্ষাবিদ। তারা উভয়ই দেশটির জনগণের কাছে অপরিচিত মুখ। তারা দুজনেরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আদিব ২০১০ সাল মিকাতি সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিল। আর দিয়াব ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আইন এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পিএসডি করা আদিব ২০১০ সালে লেবানন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।লেবানিস সেন্টার ফর পলিসি স্ট্যাডিসের প্রধান সামি আতাউল্লাহ বলেন, জনগণের কাছে অপরিচিত একজন লোককে আবারও ক্ষমতার মসনদে বসানোর চেষ্টা হচ্ছে। ফলে সবকিছুই দিয়াব সরকারের মতোই হবে। কারণ দিয়াবের মতোই আদিবকে সুন্নিরা সংসদে সমর্থন দিচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/admin ibne jayed
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply