উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। থমকে গেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শনিবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
হিমেল বাতাস ও শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে যানবাহন চলাচল করে হেডলাইট জ্বালিয়ে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। তীব্র শীতে বেশি কষ্টে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষজন। ঠান্ডাজনিত রোগে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে কনকনে শীতে মানুষের পাশাপাশি কাহিল হয়ে পড়েছে গবাদিপশুও। দিনভর হিমশীতল বাতাসে বেশি কাবু নিম্ন আয় ও ছিন্নমূল মানুষেরা। গরম কাপড় না থাকায় নির্ঘুম রাত পার করছেন অনেকেই। সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারি এলাকার আসাদুল ইসলাম বলেন, এখনই যে ঠান্ডা, আরো তো দিন আছে। রিকশা নিয়ে বের হতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বের না হলে বউ বাচ্চারা না খেয়ে থাকবে। তাই কষ্ট হলেও বের হলাম। ভাগ্যে থাকলে রিজিক মিলবে।
রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার আনিছুর রহমান বলেন, কয়েক দিন থেকে জ্বর কাশি লেগেছে, তাই হাসপাতালে ওষুধ নিতে এসেছি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের শুককুর বাজার এলাকার আলামিন মিয়া বলেন, বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেয়া যায় না, ঠান্ডা খুব। তারপরও কাজ করা ছাড়া উপায় নাই।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
( সীমান্তবাংলা/১৪ডিসেম্বর/রহমান )