ঢাকাশনিবার , ৩ মে ২০২৫
  1. অপরাধ দূর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কক্সবাজার
  6. খেলাধুলা
  7. চকরিয়া
  8. চাকরির খবর
  9. ছবি ঘর
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. পরিবেশ প্রকৃতি
  13. পর্যটন
  14. পার্বত্য চট্টগ্রাম
  15. প্রবাসের খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করিডর ইস্যুতে একাট্টা প্রায় সব দলই, নিজেদের বোঝাপড়ার পর সিদ্ধান্তের তাগিদ

মাহফুজ মিশু
মে ৩, ২০২৫ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশের রাজনীতিতে গেল কদিন ধরেই আলোচনা মানবিক করিডর ইস্যুতে। বলা হচ্ছে, রাখাইনে জাতিসংঘের ত্রাণ পাঠাতে দেশের ভূমি ব্যবহারে সম্মত সরকার।

এ জায়গাতেই আপত্তি রাজনৈতিক দলগুলোর। আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্য ছাড়া তাড়াহুড়া করে করিডর দেয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক দলগুলো। নেতারা বলছেন, রাখাইনের বাস্তব পরিস্থিতি জেনেবুঝে করিডরের বহুমাত্রিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।

বিষয়টি নিয়ে যমুনা টেলিভিশন কথা বলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই উপকার করতে গিয়ে অন্য কারও ক্ষতি করতে যাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। এটা বাংলাদেশের জনগণও মানবে না। দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে ঝুঁকিপূর্ণ এই বিষয়টি সুরাহা করা উচিত।

আলোচিত এই করিডরের ধরণ, নিরাপত্তা কারা দেবে, এটি নিয়ে চীন-ভারতসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মনোভাব অনেককিছুই স্পষ্ট নয় এখনও। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তা নিয়ে জনগণের মনোভাব বোঝা আবশ্যক ছিল বলেও মনে করেন নেতারা।

এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এটি ‘সামরিক করিডর’ হয়ে যায় কিনা, তা দেখতে হবে। তাই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরের কোনো সুযোগ নেই।

একইরকম শঙ্কা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নারও। তিনি প্রশ্ন করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার সাথে কথা বলে এমন সিদ্ধান্ত নিলো? এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত এত জলদি করে তারা নিলো কীভাবে?

এই করিডর দেয়া হলে সেটি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ভূমিকা রাখতে পারে কিনা, সেটিও বুঝতে চান নেতারা। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তা জনগণের জানা থাকা দরকার। তাহলে জনগণ সে সব সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকবে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদও এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংশ্লিষ্টতার ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিতে হবে সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে।

রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এমন উদ্যোগের ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আরও ঝুলে যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশে থাকা ১৫ লাখ রোহিঙ্গার কাউকেই ফেরত পাঠানো যায়নি গেল আট বছরে। বরং এখনও প্রায়ই শতশত রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।