কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ বিশ্বের প্রথম বুট পালিশ মার্কেট ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি জয় হল মানবতার।
কক্সবাজার শহরের লালদিঘির পাড়ে শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় রাস্তার পাশে ভাংগা ঝুপড়িতে বসে শহরবাসীর জুতা সেলাই ও রং করে জীবিকা নির্বাহ করেন মুচি সম্প্রদায়ের মানুষ। এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো মুচি সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক পরিবার।
কক্সবাজারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে লালদিঘীর সংস্কার কাজ করার পাশাপাশি দুপাড়ের মসজিদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস করার ফলে তাদের ঠিকানা যখন হারিয়ে যাবার পথে তখন ককসবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল(অব.)ফোরকান আহমদ এই প্রথম মুচিদের নিয়ে ভাবলেন। তাদের ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের অফিসে। জানতে চাইলেন,কি করা যায় তাদের জন্য। অনেক চিন্তা ও কলা কৌশলে লালদিঘীর পূর্ব পাড়ে মসজিদের নীচে তাদের জন্য আধুনিক পরিকল্পনায় মুচিদের জন্য বানিয়ে দিলেন “বুট পালিশ মার্কেট”।
বুট পালিশ নিয়ে অসংখ্য সিনেমা, গান ও গল্প, প্রবন্ধে আসলেও, বুট পালিশ করেই পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ মনীষী, রাষ্ট্র নেতা হলেও আজব্ধি বুট পালিশকারীদের জন্য বুট পালিশ মার্কেট নামে কোন স্থাপনা হয়নি, কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমদ যা করলেন তা এটাই প্রথম।
এ এক অভিনব উদ্যোগ। তারাও আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের অংশ তাই তাদের জীবন জীবিকাকে সম্মান প্রদর্শন করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ৪ ডিসেম্বর ২০২০)
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply