বেলাল আজাদ, কক্সবাজার ■ কক্সবাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কৌশলে কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল এলাকা থেকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মইন্যাকাটা এলাকায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ‘চোরাকারবারী আখ্যা’ ও বিজিবি সদস্যদের উস্কানী দিয়ে ‘ক্রস ফায়ার’র নামে পরিকল্পিত ভাবে টগবগে অবিবাহিত যুবক নেজাম উদ্দিন (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত নেজাম উদ্দিনের পিতা আবুল বশর বাদী হয়ে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম (রামু) আমলী আদালতে (সি.আর.নং-২৮৫/২০২৪, ধারা: ৩০২/৩৪ দন্ডবিধি) মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক জনাব শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী আগামী ১৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রামু থানার অফিসার ইনচার্জ কে আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার এবিসি ঘোনা (ভোকেশনাল রোড) এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল ইউনিয়নের ঘোনার পাড়ায় বসবাসকারী আবুল বশরের পুত্র নেজাম উদ্দিন (২৪) কে তার কতিপয় পূর্ব শত্রুরা নিয়ে গিয়ে কথেক বিপদগামী বিজিবি সদস্যদের ‘নেজাম চোরাকারবারি’ আখ্যা ও উস্কানী দিয়ে কথিত ‘ক্রস ফায়ার’র নামে গুলি করে হত্যা করে।
নিহতের পিতা আবুল বশর জানান, তারা পূর্বের বসবাসস্থলের কিছু পূর্ব শত্রুদের রোষানলে পড়ে হত্যা চেষ্টা, হামলা, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় হয়রান ও অতিষ্ঠ হয়ে গত কয়েক বছর ধরে এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করে আসছিল। কিন্তু পূর্ব শত্রুদের ষড়যন্ত্র, হামলা-মামলা চলতেই থাকে। এরই জের ধরে গত ২ জুন তার পুত্র নিহত নেজাম উদ্দিন কে কয়েক জন যুবক বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে গর্জনিয়ার মইন্যাকাটা এলাকায় নিয়ে যায় এবং তার পরের দিন ৩ জুন ভোরে তাকে কৌশলে মইন্যাকাটা গ্রামের মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নির্জন ও দূর্গম এলাকায় নিয়ে যায় এবং বিজিবি সদস্যদের ‘নেজাম চোরাকারবারি’ আখ্যা দিয়ে উস্কানী দিতে থাকে। তখন সকাল প্রায় ৬ টায় কতিপয় বিপদগামী বিজিবি সদস্যরা নিরীহ নেজাম উদ্দিন (২৪) কে ‘ক্রস ফায়ার’ বলে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার ঘটনার পরপরই নিহতের শত্রুরা উল্লাস করে এলাকায় মিষ্টি বিতরণও করে! এদিকে টগবগে যুবক নেজাম উদ্দিন নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আলোচিত ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সিনিয়র এডভোকেট জাবেদুল আনোয়ার রুবেল।