কক্সবাজারের উখিয়ায় এক স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ধর্ষিতাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্বয়ং ধর্ষক! চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী ওই স্কুল ছাত্রী অপহরণের শিকার হলে তার মাতা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ২১ জানুয়ারী সি.পি-২০/২০২৫ (ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০) নং মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), কক্সবাজার-কে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)’র উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ ২৯ জানুয়ারী অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে, সেদিন বিকেলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তার ওই ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং ধর্ষিতার মাতা ফাতেমা বেগম বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ থেকে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে জিম্মা গ্রহণ করে ঘরে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত ৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা আছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করিলে, অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রীকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহত ও ধর্ষিত নাবালিকা স্কুল ছাত্রী (১৫) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামের মোঃ আবদুল্লাহ কন্যা ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। আর ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা হল- উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পিনজিরকুল (ঘোনার পাড়া) গ্রামের বদিউল আলমের পুত্র রাহমত উল্লাহ (২৩), হরিণমারা (ঐচ্ছারজুম) গ্রামের আমির হোছনের পুত্র নুরুল আবছার (২৪) ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের পুত্র মোঃ আলমগীর (২৫)। বর্তমানে অপহৃত ও ধর্ষিত ভিকটিম স্কুল ছাত্রী কে নিয়ে অভিযুক্তরা অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্য দিকে কক্সবাজারের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন মর্মে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. জাবেদুল আনোয়ার রুবেল ও এড. নুরুল ইসলাম নুরু।