প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারি ২০২১ , ৩:১৬:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্তবাংলা অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা আমদানির জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেওয়ায় টিকা আনার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারবে বেক্সিমকো।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, টিকা আনার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বেক্সিমকো ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করে এনওসি পাওয়ার জন্য। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সেই এনওসি দিয়েছে বেক্সিমকোকে। এই এনওসি পাওয়ার ফলে আমাদের দেশে টিকা আনার জন্য প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপগুলো শুরু করতে পারবে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার ব্যাপারে সরকার, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। টিকা পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি জি-টু-জি চুক্তি সই হয়। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পক্ষে বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই টিকা আনার জন্যই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের আমরা একটি এনওসি সনদ দিয়েছি, যেটি দেশে টিকা আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এই এনওসি আসলে একটি প্রসেসিং যেটি দিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, যেন টিকা পাওয়ার ক্ষেত্র আমাদের কোনো টাইম লস না হয়। টিকা যেন আমরা দ্রুত ও জরুরিভিত্তিতে পাই, সে কারণে এই এনওসি।
আইয়ুব হোসেন আরও বলেন, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আসলে বলতে হবে জি-টু-জি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে কো-অর্ডিনেশন করেছে বেক্সিমকো। এই অনুযায়ী তারা বাংলাদেশে টিকা এনে দেবে। কিন্তু চুক্তি সরকারের পক্ষে বা সরকারের সঙ্গে সরকারের হয়েছে। যেহেতু জি-টু-জি চুক্তি হয়েছে, তাই ভারত যে রফতানি নিষে’ধাজ্ঞা দিচ্ছে, সেটি প্রযোজ্য হবে না।
যেহেতু জি-টু-জি চুক্তি, তাই আমরা সঠিক সময়ে টিকা পাব। এক্ষেত্রে একটি মিডিয়া প্রয়োজন হয়, বেক্সিমকো সেই মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। এজন্য তারা টিকা আনা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রসেসিংগুলো করবে। সে কারণে তাদের আমরা একটা প্রাইমারি এনওসি দিয়েছি।
এর আগে, দুপুরে টিকা আনার জন্য এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। পরে সন্ধ্যায় টিকা আমদানির অনুমোদন দেয় অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা চাইলে এখন টিকা আনতে পারবে।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ৫ জানুয়ারী ২০২১)