সাবেক ওসি প্রদীপের মোবাইল ব্যবহার, নিকটাত্মীয় সহ পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎসহ টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ দাশের করা সব আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে আবেদনগুলো খারিজ করা হয়।
১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কড়া পাহারায় প্রদীপ দাশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নেয়া হয় আদালত ভবনে। শুরুতেই স্বজন এবং আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন খারিজ করেন আদালত। পরবর্তীতে কারাগার থেকে মোবাইলে কথা বলার আবেদনও নাকচ করে দেয়া হয়। তৃতীয় দফায় আবেদন জানানো হয় কারাগারের বাইরে উন্নত চিকিৎসার। আদালত সেই আবেদনও নাকচ করে জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডিআইজি প্রিজনের রেফারেন্সে কারা কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি আদালতে পৌঁছলে আদালত কারাবিধি অনুসরণ করে ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজন এবং আইনজীবী কাউকে দেখা করতে নিষেধ করে আদেশ জারি করেন।
আত্মীয়স্বজন কিংবা আইনজীবীর দেখা করা বন্ধ হলে আসামিপক্ষ আদালতে মোবাইলে সীমান্তবাংলাঃ যোগাযোগের অনুমতির আবেদন করেন। তবে সে আবেদনও খারিজ করা হলো।
তবে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। স্ত্রী চুমকির অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৩ আগস্ট দুদকের দায়েরকৃত এই মামলায় ওসি প্রদীপকেও আসামি করা হয়।
কিন্তু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, নৃশংস খুনি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্তদের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের যে নীতি রয়েছে- প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকায় তার বিষয়েও ওই ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানান দুদকের আইনজীবীরা।
(সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ১৩ অক্টোবর ২০২০)