মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া : উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নিহতদের মধ্যে দু’জন হলেন স্থানীয় যুবক।
তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালীর এলাকার দিলদার আলমের পুত্র নুরুল বশর ও একই এলাকার পশ্চিম সিকদার পাড়ার নোহা চালক নুর হোসেনের পুত্র নুর হুদা। নিহত অপর দুইজন হলেন, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস ও মারুফ বলে জানিয়েছে নিহতের পারিবার।
নিহতের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত নুরুল বশর ও চালক নুর হুদাকে রিজার্ভ ভাড়া করে হ্নীলা থেকে কুতুপালং পৌছলে ভাড়ার টাকা নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ঘটনাটি সংঘর্ষের রুপ বলে নিহত নুর হুদার ভাই ইসমাইল নিশ্চিত করেন।
অপর একটি সুত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের পাশেই ওই দুইজনের্ এতজনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তা আপোষ মিমাংসায় বিতর্কের একপর্যায়ে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (৬অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে রোহিঙ্গা দুই পক্ষের মধ্যে দা কিরিচ নিয়ে সংঘর্ষে শুরু হলে সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর পরিবারের কিছু সদস্য একটি মাইক্রোবাসে চড়ে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। তখন তার প্রতিপক্ষের ওই গাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় গাড়িতে থাকা চালকও হেল্পার হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রা্রণ হারায়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, নিহতেদের পোষ্ট মর্টেমের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং সেখানে শান্তি শৃংখলা বজায়ে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। গত পাচ ধরে ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় ভীতিতে রয়েছে এলাকাবাসী।
742
Leave a Reply