
গুল্ম জাতীয় গাছ আলকুশি। শিম পরিবারের উদ্ভিদ এটি। এর ফল অনেকটা শিমের মতো দেখতে। ফলে বীজ থাকে ৪ থেকে ৬টি। ১০০টি শুকনো বীজের ওজন ৫৫-৮৫ গ্রাম। এর বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়। ত্বকের সংস্পর্শে এলে এগুলো প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে।
এই গাছ কিন্তু বানরের খুব অপছন্দ। কোনো এলাকায় এই গাছ থাকলে বানর সে এলাকা ছেড়ে পালায়। কিন্তু কেন? জানা যায়, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে শুরু করে তখন এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই চুলকানির ভয়ে ওই এলাকা ছেড়ে দেয় বানরের দল। যখন এই ফল মাটিতে পড়ে যায় তখন তারা আবার ফিরে আসে। বিশেষ দৈহিক কারণে খায় সেগুলো।
বানর ভয় পেলেও মানুষের জন্য বেশ উপকারী এই গাছ। সর্দি থেকে শুরু করে পেটের ব্যথার মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোতে উপকারী ভূমিকা রাখে আলকুশি। মূলত এটি একটি ওষুধী গাছ। এর অনেক গুণ রয়েছে।
কোনো স্থানে পোকা-মাকড় কামড় দিলে আলকুশি বীজের গুঁড়া লাগান। এতে যন্ত্রণা অনেকটা কমে যাবে।
আলকুশির শেকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সেরে যায়।
যারা ফোঁড়া সমস্যায় কষ্ট পান তারা আলকুশি ব্যবহার করতে পারেন। এই পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে তা অচিরেই ফেটে যায়।
এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এতে শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় ও স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।
আলকুশি গাছের শেকড়ের রস খেলে সর্দি কাশি সমস্যা দূর হয়ে যায়। এটি মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়েও বেশ উপকারী।
নানা গুণ সমৃদ্ধ এই গাছটির কথা কি জানা ছিল আপনার?