শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

শিরোনামঃ
কক্সবাজারে বৃষ্টির রেকর্ড ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ মিলিমিটার পাহাড় ধসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ জনের মৃ’ত্যু কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃ’ত্যু প্রতিষ্টাতা কমিটির উদ্যোগে রামু প্রেস ক্লাবের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত  নরসিংদীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া শটগান ও চায়নিজ রাইফেলের ম্যাগজিন উদ্ধার উখিয়ায় কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন উখিয়ায় অরক্ষিত গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির হিড়িক, আইনের কোন বালাই নাই সিলেটে বিমান থেকে উখিয়ার সালাউদ্দিন র‍্যাবের হাতে আটক।  বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গতিধারা নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে ” মুহাম্মদ শাহজাহান
উখিয়ায় চলছে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি

উখিয়ায় চলছে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি

সীমান্তবাংলা : ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানবতার শহর উখিয়া উপজেলার জনজীবন। প্রতিদিনের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ উপজেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবন। লোডশেডিংয়ের নামে প্রতিদিনই চলছে বিদ্যুৎ এর আসা-যাওয়ার খেলা। ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত একটানা তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বারোটার পর আসলে আবারও শুরু হয় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলা। দিনে-রাতে কতবার যে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলায় মেতে থাকে তা ভুক্তভোগীরাই বেশি অনুভব করেন। বিদ্যুৎ না থাকার ব্যাপারে আগে থেকে ছিল না কোনো প্রচারণা। প্রচারণা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছে নানা বিপাকে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সেবাকে গুরুত্ব না দিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। টাকা ছাড়া বিদ্যুতের কোনো কাজই হয় না। কক্সবাজার জোনাল অফিস উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রয়েছে একাধিক দালাল। দালালের মাধ্যমে অবৈধ লেন-দেন হয় বলে ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কাজীপাড়া এলাকার কাজি জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় আমরা অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছি। একদিকে ভেপসা গরম অন্যদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অসুস্থ ব্যক্তি ও শিশুদের দারুণ কষ্ট হচ্ছে। রাজাপালং এলাকার মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার সময় লো ভোল্টেজের কারণে আমার বাসার মটর ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, উখিয়াতে বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষণে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বহীনতার সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। লাইন মেরামতে পল্লী বিদ্যুৎ কী বরাদ্ধ দেয় না? আর দিলেও এগুলো যায় কোথায়? লাইনের ওপর থাকা গাছপালা কর্তন ও মেরামত না করায় বড় তুফানে গাছপালা পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক সময় ঘটেছে দুর্ঘটনা। এখন প্রায় প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। জনসাধারণকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলে হয়তো জনগন ফুঁসে উঠবে তখন সামাল দিতে পারবে না। তিনি আরো বলেন,বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামত চলেছে এখানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সাধারণ গ্রাহকের দুর্ভোগের বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মোটেই আমলে নিচ্ছেন না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসায় উপজেলার অনেক সাধারণ মানুষ পড়েছে নানা বিপাকে। সাধারণ জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উখিয়াবাসী। সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ দিচ্ছে কিন্তু অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ফলে আজ জনগণের এই ভোগান্তি। ফলে সরকারেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় সাধারণ মানুষের কষ্ট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধ না হলে সাধারণ জনগণ দিনদিন ফুঁসে উঠবে। তবে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা দিনরাত ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

Design & Developed by Ecare Solutions