প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:১৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্তবাংলা ডেস্ক◼️
কক্সবাজারের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে “কুতুপালংয়ে বখতিয়ার মার্কেট দখল চেষ্টা-ভাংচুর : ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী : সেনা বরাবর অভিযোগ”, “উখিয়ায় চাঁদা না পেয়ে মার্কেট দখল নিতে মরিয়া সংঘবদ্ধ চক্র” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের সম্পূর্ণ তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কল্পকাহিনী মাত্র।প্রকৃত তথ্য এই যে, উখিয়া মৌজার আরএস ২৩৩নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক এর ওয়ারিশ জনৈক তেজেন্দ্র বড়–য়া হতে বিগত ১৩/০১/১৯৯০ইং তারিখের ৮৩নং রেজিঃযুক্ত কবলা মূলে ৬, ৭নং প্রতিবাদকারী এর নামে ১৭ কড়া, একই খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক এর ওয়ারিশ জনৈক মনিন্দ্র লাল বড়–য়া হতে বিগত ১৪/০১/১৯৯০ইং তারিখের ১১০নং রেজিঃযুক্ত কবলা মূলে ১, ২, ৩, ৪, ৫নং প্রতিবাদকারীর পিতা মীর কাশেম এর নামে ৬০ কড়া জমি খরিদা মূলে মালিক ভোগ দখলকার।
উক্ত মীর কাশেম এর মৃত্যুতে আমরা ১, ২, ৩, ৪, ৫নং প্রতিবাদকারী সহ অপরাপর বোনেরা বর্ণিত ৬০ কড়া জমি ও ৬, ৭নং প্রতিবাদকারীদ্বয় ১৭ কড়া জমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছি।
কুতুপালং এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সাবেক ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদ মেম্বার বিগত ১৩/০৫/২০০৬ইং তারিখ ১৫০/- টাকা মূল্যমানের লিখিত নন-জুড়িসিয়াল ষ্ট্যাম্প মূলে চুক্তিনামা সম্পাদন পূর্বক সাড়ে ১৬ কড়া জমি আমরা ১, ২, ৩, ৪, ৫নং প্রতিবাদকারীদের নিকট হতে ৫ বছরের জন্য ভাড়ায় নেয়। পরবর্তীতে উক্ত বখতিয়ার আহমদ মেম্বার সম্পূর্ণ গায়ের জোরে উক্ত সাড়ে ১৬ কড়া জমি আমাদেরকে ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে দখল করিতে থাকে। অবশিষ্ট জমির উপর বহু টাকা খরচ করে মাটি ভরাট করতঃ আমরা ৮টি সেমিপাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়ায় প্রদান করি।
যাহা পরবর্তীতে বিগত ২০১৭ইং সালে উক্ত বখতিয়ার আহমদ মেম্বার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে আমাদের বর্ণিত দোকান ঘর সহ আরো সাড়ে ১৭ কড়া জমি অর্থাৎ সর্বমোট ৩৪ কড়া জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে নেয়। উক্ত বিষয়ে আমরা বখতেয়ার আহমদ মেম্বার এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে সালিশ দায়ের করি। সালিশে জমির দলিল, খতিয়ান ইত্যাদি পর্যালোচনা করতঃ বর্ণিত জমি আমাদের মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় উক্ত বখতেয়ার আহমদ মেম্বার আমাদের জমি আমাদেরকে ছেড়ে দিবে মর্মে অঙ্গীকার করেছিল। পরবর্তীতে বখতিয়ার আহমদ মেম্বার মৃত্যুবরন করার পর তাহার ওয়ারিশ বোরহান উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন মেম্বার, কায়সার উদ্দিনকে আমাদের জমি ছেড়ে দিতে বললে তারা আজ দিবে, কাল দিবে বলে সময় হরন করতে থাকে।
একপর্যায়ে হেলাল উদ্দিন মেম্বার গংরা পরস্পর যোগসাজসে আমাদের মালিকানাধীন বর্ণিত জমি আত্মসাৎ করার কু-উদ্দেশ্যে সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে এহেন ডাহা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানী করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা এহেন ডাহা মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ সহ সাংবাদিক ভাইদেরকে প্রকৃত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এহেন মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, উক্ত হেলাল উদ্দিন মেম্বার গং এলাকার দূর্দান্ত ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে জোরপূর্বক ভাবে স্থানীয় দীপন বড়–য়া, এডভোকেট ছমি উদ্দিন, রশিদ আহমদ, জুনু মিয়া সহ বহু লোকজনের জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে আত্মসাৎ করছে।
প্রতিবাদকারী
১। রশিদ আহমেদ ২। আমির হোছন ৩। মঞ্জুর আলম
৪। হোছন আলী ৫। নুরুল আলম ৬। শাহা আলম
৭। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকুতুপালং, উখিয়া, কক্সবাজার।