মোসলেহ উদ্দিন উখিয়া ● উখিয়া-টেকনাফের (কক্সবাজার) শরণার্থী ক্যাম্পে ইন্টারন্যাশনাল অভিবাসন সংস্থার অধিনস্ত ছয়টি প্রজেক্টে কর্মরত প্রায় ৬ শতাধিক এনরুট রিক্রুইটম্যান কর্মীরা ৪ দফা দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছে।
কর্মরিতি কর্মীরা জানান, ২০১৭ অক্টোবরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে আইওএম বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। সে সুবাদে আইওএম’র মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চলমানের ৬ মাস পর আইওএম কর্মীদের এনরুট ইন্টারন্যাশনাল’র অধিনে চুক্তিবদ্ধ করে। চুক্তিবদ্ধের পর থেকে প্রায় ৬ শতাধিক কর্মী আইওএম’র অধিনে বিভিন্ন প্রজেক্ট কর্ম সম্পাদন আসছে। গত সাড়ে ৭ বছর বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেনি এনরুট-আইওএম।
এমন পরিস্থিতিতে ৬ শতাধিক কর্মীরা বিভিন্ন সময় এনরুট-আইওএম’র উপরস্থ কর্মকর্তাদের বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ মৌলিক দাবি জানিয়ে আসলেও কোনই সন্তোষজনক জবাব দিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত: বর্তমানে দৈনন্দিন বাজারে নিত্যপন্যসহ প্রভৃতি প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রীর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। যেকারণে কর্মরত কর্মীদের স্বাভাবিক জীবনধারণে হিমসীম অবস্থা বিরাজ করছে। স্কল্প বেতনের এই কর্মীদের পরিবারে ঘানি টানতে দু:সহ হয়ে উঠেছে। সে বিবেচনায় বেতন ও তৎসমূহ প্রাপ্য দাবী নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও সমাধান না পাওয়াতে আইওএম-এনরুট এর ৬ ডিপার্টমেন্টের ৬ শতাধিক কর্মী গত ১৬ নভেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ কর্ম বিরতি পালন করে আসছে।
এপর্যন্ত আইওএম-এনরুট’র পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়াতে ৪ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন ও মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। কর্মবিরতি পালনরত কর্মীরা আরও জানান, ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ মেয়াদ কালে আগে নভেম্বরে টার্মিনেশন লেটার পাঠিয়ে চাকরি ছাটাই নিশ্চিত করেন। আইওএম-এনরুট’র কর্মবিরতি পালনকারী কর্মীদের ৪ দাবিগুলো হল ১. ন্যায্য শ্রম আইন অনুসরণে বেতন সমন্বয়, ২. সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজের প্রতিদান, ৩. চাকরির নিরাপত্তা-প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, ৪. বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করণ।
এ বিষয়ে উখিয়া টেকনাফের বিএনপি নেতা সাবেক সাংসদ ও হুইপ শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, তাদের দাবী ন্যায্য। তাদেরকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা যাবেনা। তিনি বলেন, ট্রিপল আরসির সাথে কথা হয়েছে। তিনি এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।