বিবিধ

অতীব প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর ঘরের বাইরে নয় | উখিয়া থানা প্রশাসন

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২০ , ১০:৩০:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

সীমান্তবাংলাঃ সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আসা ইয়াবার চালান পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ার কারণে ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যার পরে পথচারী যাত্রী সাধারণ এ সব ইয়াবা সেবীর খপ্পরে পড়ে প্রতারিত ও নাজেহাল হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। মাদকসেবীর ছেলে হামলায় পিতা মাতা আহত ও স্বামীর অত্যাচারে ছেলে মেয়েসহ স্ত্রীর ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উখিয়ার চাকবৈঠা, করইবনিয়া, উখিয়া সদর, হাজীরপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, রহমতের বিল, আনজুমানপাড়া, রাজাপালং বটতলী, রত্নাপালং তেলীপাড়া, টেকপাড়া, রুহুল্লার ডেবা, উখিয়া সদর মাছ বাজারের স্থায়ী বাসিন্দারা শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। এ ব্যাপারে তারা থানা প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতেপারে এমন আশংকা করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোরশেদ গতকাল দিনভর উখিয়ার আনাচে কানাছে মাইকিং করে বলেছেন, অতিপ্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পরে যেন কেউ বাড়ি থেকে বের না হয়। এ প্রসঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, পুরো পুলিশ প্রশাসন এখানাকার জন্য নতুন। রাস্তাঘাট সম্পর্কে তাদের চেনা জানা নেই। অপরাধী, নিরপরাধ কে বা কারা সে সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ।

তিনি আরো বলেন, রাতের বেলায় দেখা যায়, বেশ কিছু টমটমে করে লোকজন আসা যাওয়া
করছে। এরা কারা, কোথায় যাচ্ছে, কিছুই জানা নেই। তাই সংঘত কারণে মাইকিং করে

স্থানীয় জনসাধারণকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে
বের না হয়।
এলাকায় মাদক বিক্রি এবং মাদকাসক্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে
দাবী করে স্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংস্থার সেক্রেটারী বেলাল উদ্দিন
বলেন, উখিয়া স্টেশন, বাজার হয়ে হাজিরপাড়া নিজ বাড়ী যেতে তাকে পথে পথে মাদকাসক্তদের
হাতে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এসব মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলে তারা একতাবদ্ধ
হয়ে রাতের আধঁারে হামলা চালায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মদ্যপ অবস্থায় ছুরিকাঘাতে আহত
হয়েছে রুবেল (২৫) নামের এক যুবক। রিক্সা শ্রমিক গুরা মিয়ার বসতবাড়িতে চলে মদ ও জুয়ার
আসর। এসমস্ত জুয়ার আসরে যুব সমাজ সর্বস্ব হারিয়ে টাকার জন্য পিতার মাতাকে মারধর
করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন, প্রতি
রাতেই যেন হাজিরপাড়া এলাকায় একটি পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়।
উখিয়ার সীমান্ত জনপদ পূবার্ঞ্চলীয় এলাকার উচ্চ শিক্ষিত যুবক বর্তমান গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক মোজাফফর আহমদ মাদকসেবীর হাতে লাঞ্চিত ও মারধরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি
মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মোজাফফ্র আহমদ সাংবাদিকদের জানান, এ
যাবত উক্ত মামলার একজন আসামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তা যদি হয় তাহলে এলাকার অপরাধী চক্র আরো মাথাচড়া দিয়ে উঠবে। গ্রামীণ জনপদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যারা ফসল উৎপাদন
করে পরিবারকে খাওয়ায় এবং দেশকে বাঁচায় তারাও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না।

আরও খবর

Sponsered content